আমাদের হাতেভাজা বগুড়ার সেমাই হলো এক বিশেষ ধরনের ঐতিহ্যবাহী সেমাই, যা তার অনন্য স্বাদ, সুবাস এবং বিশেষ প্রস্তুতির জন্য সুপরিচিত। বগুড়ার এই সেমাই হাতে প্রস্তুত করা হয় এবং নিখুঁতভাবে ভেজে নেওয়া হয়, যা এটিকে সাধারণ সেমাইয়ের থেকে আলাদা করে তোলে। এটি ঈদে বা যেকোনো বিশেষ উৎসবে মিষ্টিমুখ করার জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান।

সোর্সিং (আমাদের উৎস)

আমরা সরাসরি বগুড়ার স্থানীয় প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে খাঁটি হাতেভাজা সেমাই সংগ্রহ করি। কোনো প্রিজারভেটিভ, কেমিক্যাল বা ভেজাল ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হয় এই সেমাই। প্রতিটি সেমাই হাতে ভেজে প্রস্তুত করা হয়, তাই এর স্বাদ হয় অনন্য।

কেন হাতেভাজা বগুড়ার সেমাই বিশেষ?

এই সেমাইয়ের বিশেষত্ব এর উৎপাদন প্রক্রিয়ার মধ্যে নিহিত, যা এর ঐতিহ্যবাহী মান বজায় রাখে।

• হাতে তৈরি ও ভাজা: এই সেমাই মেশিনে তৈরি নয়, বরং বগুড়ার কারিগরদের দ্বারা হাতে যত্ন করে তৈরি করা হয়। এরপর এটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় হালকা আঁচে ভেজে নেওয়া হয়, যা সেমাইটিকে একটি সুন্দর সোনালী রঙ এবং অতুলনীয় সুবাস দেয়। এই হাতেভাজার কারণে সেমাই রান্নার সময় সহজে গলে যায় না এবং ঝরঝরে থাকে।
• খাঁটি স্বাদ ও সুবাস: হাতেভাজার কারণে সেমাইয়ের নিজস্ব একটি সুঘ্রাণ তৈরি হয়। রান্নার সময় এই সুবাস পুরো ঘরে এক উৎসবের আমেজ সৃষ্টি করে। এই সেমাই তৈরি করতে কোনো প্রকার কৃত্রিম রং বা প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় না।
• সহজে রান্না: এই সেমাই আগে থেকেই ভাজা থাকে বলে রান্নার সময় খুব কম লাগে। দুধ ও চিনির সাথে মিশিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে দারুণ সুস্বাদু সেমাইয়ের পায়েস তৈরি করা যায়।

রান্নার উপকরণঃ

• হাতেভাজা সেমাই
• গরুর দুধ
• চিনি
• ঘি
• এলাচ
• তেজপাতা
• কাজু বাদাম, কিসমিস, পেস্তা বাদাম

প্রস্তুত প্রণালী

1. প্রথমে দুধ ভালো করে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন।
2. অন্য পাত্রে ঘি গরম করে হাতেভাজা সেমাই হালকা লালচে হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন।
3. ভাজা সেমাইতে দুধ ঢেলে দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিন।
4. এরপর চিনি, এলাচ ও তেজপাতা দিয়ে অল্প আঁচে রান্না করুন।
5. দুধ ঘন হয়ে সেমাই নরম হয়ে এলে নামিয়ে নিন।
6. কাজু বাদাম, কিসমিস ও পেস্তা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।