চিয়া সিড হলো পৃথিবীর অন্যতম সেরা এবং পুষ্টিতে ভরপুর একটি বীজ। এই ক্ষুদ্র বীজগুলো ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, প্রোটিন এবং বিভিন্ন খনিজ উপাদানের এক বিশাল উৎস। চিয়া সিড তার অসাধারণ হাইড্রেশন ক্ষমতা এবং বহু স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত।

সোর্সিং (আমাদের উৎস)

আমরা বিশ্বস্ত উৎস থেকে সরাসরি খাঁটি চিয়া সিড সংগ্রহ করি। কোনো ভেজাল, রাসায়নিক বা সংরক্ষণকারী ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে সংরক্ষণ করে আপনাদের কাছে পৌঁছে দিই। ফলে প্রতিটি দানায় থাকছে টাটকা ও আসল গুণ।

উপকারিতা

• ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ, যা হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারী।
• উচ্চ ফাইবার শরীরকে সুস্থ রাখে ও হজমে সহায়তা করে।
• ডায়াবেটিস ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর।
• অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
• ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ডায়েট ফলো করতে সহায়ক।

খাবার প্রণালী

Ø  ওজন কমানোর জন্য খাওয়ার নিয়ম-

• সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস লেবু পানি/সাধারণ পানিতে ১ টেবিল চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে পান করুন
• দুপুর বা রাতে খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে ½–১ টেবিল চামচ ভিজানো চিয়া সিড নিন

Ø  ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

• দই, ওটস বা সালাদের সাথে খাওয়া ভালো
• দিনে সর্বোচ্চ ১ টেবিল চামচ
• খালি পেটে খাবেন না—খাবারের সাথে বা পরে খাবেন 

Ø  কনস্টিপেশন / হজমের জন্য

• রাতে ১ গ্লাস পানিতে ১ টেবিল চামচ ভিজিয়ে রেখে সকালে খাবেন
• চাইলে ইসবগুলের ভুসির সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন
• বেশি পানি খাবেন

Ø  হৃদরোগ ও কোলেস্টেরল কমাতে

• স্মুদি, লেবুপানির ড্রিঙ্ক, বা সালাদে মিশিয়ে খাওয়া সেরা
• দিনে ১–১.৫ চা চামচ যথেষ্ট

Ø  ত্বক ও চুলের জন্য

• দুধ, দই বা নারকেল পানির সাথে ভিজিয়ে খান

Ø  গর্ভবতী মায়েদের জন্য

• ১ চা চামচের বেশি নয়
• দুধ বা স্মুদির সাথে মিশিয়ে খাওয়া নিরাপদ
• আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো

Ø  জিম/ব্যায়ামকারীদের জন্য

• ওয়ার্কআউটের আগে স্মুদি বা প্রি-ওয়ার্কআউট ড্রিঙ্কে
• ওয়ার্কআউটের পরে দুধ বা ওটমিলে মিশিয়ে
• দিনে ১–২ চা চামচ যথেষ্ট